বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামী ২১ জুলাই, বুধবার। করোনা ভাইরাসের কারণে আগের তিন ঈদের মতো এ ঈদেও উৎসব আয়োজনে থাকবে নানা সীমাবদ্ধতা। এরসঙ্গে যোগ হচ্ছে বৃষ্টির শঙ্কা। ঈদের দিন আবহাওয়া অনেকটাই প্রতিকূলে থাকতে পারে। সকালের দিকে রোদ থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, বৃষ্টি হলেও কিছুক্ষণের মধ্যে তা শেষ হয়ে যাবে।
সোমবার (১৯ জুলাই) সকালে ঈদের দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানাতে গিয়ে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার।
তিনি বলেন, এখন বর্ষকাল। প্রতিদিনই দেশের অধিকাংশ স্থানে কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। আগামাী কয়েকদিনও বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ হিসাবে ঈদের দিনও বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে ঈদের দিন রোদ ও বৃষ্টি উভয়ের দেখা পাওয়া যেতে পারে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকায় সকালের দিকে রোদের দেখা মিলতে পাারে। এছাড়া সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে তিন থেকে চারদিন পর বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।
এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তারাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দূর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টা দেশের আট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেছেন, এবারের ঈদের দিনটা মূলত শুষ্ক থাকবে, হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে অন্যান্য বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। তবে যে ধরনেরই বৃষ্টি হোক না কেন, তা হবে অল্প সময়ের জন্য।
তিনি আরো বলেন, ঈদের দিনের চেয়ে ঈদের আগের দিনই বৃষ্টি কিছুটা বেশি হতে পারে। ঢাকাসহ বেশ কিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ও বেশির ভাগ জেলায়ই মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এছাড়া সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী দুই দিনে আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। পরের ৫দিনে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, মৌসুমী বায়ূর অক্ষের বাড়তি অংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ূ বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দূর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।